আশুলিয়ায় অপু নামের যুবকের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে কিশোর গ্যাংএর হামলা,সাবেক ইউপি সদস্য সহ কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
রাকিবুল ইসলাম সোহাগ -
আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ে উৎপাত।
বিভিন্ন ইসুতে প্রতিনিয়ত চলছে মারামারি কাটাকাটির ঘটনা চলছে মাদক সেবন, সহ অনৈতিক কর্মকান্ড। ভুক্তভোগীরা মামলা করলে তা তুলে না আনলে দিচ্ছেন আবার মাইর। এমন একটি মামলা তুলে না নেওয়ায় গত ১৩/০৫/২০২৩ ইং তারিখ মেহেদী হাসান অপু ২৫ নামে এক জনকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে কিশোর গ্যাং। এমন একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ মেহেদী হাসান অপু (২৫) পিতা-মৃত আরজ আলী, মাতা-নাছিমা আক্তার,
সাং-কান্দাইল মৃধা বাড়ী, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা।
জানা যায়ঃ মোসাঃ নাছিমা আক্তার (৫০) স্বামী-মৃত
আরজ আলী, সাং-কান্দাইল মৃধা বাড়ী, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা। ইতিপূর্বে থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা, ১নং আবু তাহের মৃধা, ২। রানা সরকার, ৩।রবি ৪। মোঃ সোহেল (২০) পিতা-মোঃ আব্দুস ছোবাহান, সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন বিবাদীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানার মামলা দায়ের করে যার নং-৪২, তারিখ-১৯/০১/২০২৩, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড।
উল্লেখিত মামলা জামিনে এসে উক্ত মামলা তুলিয়া নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি সহ আমাকে মারপিট করার হুমকি দিয়ে আসছিলো।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি আশুলিয়া থানার জিডি নং-২৪৩৯, তারিখ-২৬/০১/২০২৩।
এরপর গত ইং-১০/০৫/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত ১নং বিবাদী আমাকে নরসিংহপুর আমার মামা আবু সামা মৃধার অফিসের সামনে রাস্তায় পাইয়া আমার মায়ের দায়েরকৃত মামলাটি
২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলিয়া দিতে বলে। আমরা মামলা তুলিয়া নেব না বললে আমাকে পঙ্গু করিয়া ঘরে বসাইয়া রাখিবে এবং আমাকে জীবনে শেষ করিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে।
এরপর গত ১৩/০৫/২০২৩ ইং তারিখ আমি মটর সাইকেল যোগে
নরসিংহপুর হইতে আলতাব নগর যাওয়ার পথে বেলা অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় আশুলিয়া থানাধীন বেরন
মানিকঞ্জপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন কালভার্ট এর পশ্চিম পাশে রাস্তায় পৌঁছাইলে পূর্ব হইতে উৎপেতে থাকা উল্লেখিত
১৩/০৫/২০২৩ বিবাদীগন লোহার রড, জিআই পাইপ ও দা সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়া আমার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। আমি মটর সাইকেল থামানোর সাথে সাথে বিবাদীগন আমাকে এলোপাথারী মারপিট শুরু করে।
ঐ সময় ১নং বিবাদীর হুকুমে ২নং বিবাদী রানা সরকার তাহার হাতে থাকা দা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় কোপ মারিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আমি মাটিতে পড়িয়া গেলে ৩ ও ৪নং বিবাদী সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা
বিবাদীগন লোহার রড ও জিআই পাইপ দ্বারা আমাকে এলোপাথারী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা ও মারাত্মক আহত করে।
আমার আত্তচিৎকারে আশ পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে উল্লেখিত বিবাদীগন পরবর্তীতে
সুযোগ মত পাইলে আমাকে জীবনে শেষ করিয়া ফেলার হুমকি দিয়া চলিয়া যায়।
এরপরে স্থানীয় লোকজন আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য প্রথমে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরবর্তীতে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়া যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইয়ারপুর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের আবু তাহের মৃধা সাবেক মেম্বার এসকল বিষয়ে অস্বীকার করেন।
অথচ আবু তাহের মৃধার আপন ছোট ভাই আবু সামা মৃধা বলছেন আমার ভাই আবু তাহের মৃধার নিয়ন্ত্রণে চলে কিশোর গ্যাং রানা বাহীনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক এলাকা বাসি বলছেন কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পরেছে।
কে এই রানা সরকার জানতে চাইলে তারা জানান, রানা সরকার সাবের মেম্বার আবু তাহের মৃধার ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। রানা সরকার কিশোর গ্যাংয়ের মুলহোতা। এর নামে আশুলিয়া থানায় একাধিক মার্ডার মামলা সহ ধর্ষণ মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী বলেেছেন মাথায় কাটা স্থানে ১৫টি সেলাই দেওয়া হইয়াছে। আমি চিকিৎসা শেষে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচারের দাবিতে থানায় আসিয়া একটি মামলা দায়ের করি যার নং ৩৪।
মামলা করার পর থেকে আবু তাহের মৃধা দল-বল নিয়ে মহরা দিছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে আশুলিয়ার উপপরিদর্শক মাসুদ আল মামুন বলেন মামলা দায়ের হয়েছে আসমি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন