আশুলিয়ার বেরন তেতুলতলা কামরুলের মোড় হতে ধর্ষন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি কে আটক করেছে র‍্যাব


রাকিবুল ইসলাম সোহাগ -শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানাধীন চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ০৯ বছর আত্মগোপনে থাকা ১৪ বছরের সাজা এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪।

 র‍্যাব-১৪,সিপিসি-১ (জামালপুর)* ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া,বেরন চিত্র সাইল বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী  মোঃ গোলাপ হোসেন (৪০) কে ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখ ১৭:৪৫ ঘটিকায় গ্রেফতার করে র‍্যাব।

ভিকটিম একজন গ্রামের হতদরিদ্র ঘরের নাবালিকা সন্তান ছিলেন। ভিকটিমের প্রতিবেশী আসামী মোঃ গোলাপ হোসেন (৪০), পিতা-ছাবেদ আলী, সাং-মধ্য ডেফলাই, থানা- ঝিনাইগাতী, জেলা- শেরপুর। ভিকটিমের পরিবারের সাথে আসামী মোঃ গোলাপ হোসেন (৪০) এর দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে দ্ব›দ্ব কলহ চলতে ছিল। সেই পূর্ব কলহের জের ধরে ভিকটিম এবং তার পরিবারের ক্ষতিসাধন করার নিমিত্তে আসামী বিভিন্ন অযুহাতে বাকবিতন্ড করে আসছিলেন। ঘটনার দিন গত ১৮/০৪/২০১৪ ইং তারিখে দুপুর অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় ভিকটিম তার বাড়ীর সামনে আঙ্গিনায় খেলাধুলা করছিলেন। উক্ত সময়ে আসামী মোঃ গোলাপ হোসেন (৪০) এবং তার বাড়ির লোকজন বাদী মোঃ ইউছুফ আলী, পিতা- মৃত জয়নাল আবেদীন, সাং- মধ্য ডেফলাই, থানা- ঝিনাইগাতী, জেলা- শেরপুর এর বাড়ীর সামনে গিয়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটির শিশু সুলভ আচরণ ও সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে ভাল পোশাক পড়াবে, দোকান হতে বিস্কুট কিনে দিবে ও ভাল খাবার খাওয়াবে ইত্যাদি বলে অত্যান্ত সু-পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে অপহরন করে ঢাকার এয়ারপোর্ট নর্দ্দা এলাকায় আসামী মোঃ গোলাপ হোসেন (৪০) এর ভাড়া বাসায় জোরপূর্বক আটক করে রাখে। পরবর্তীতে বাদী আসামীর পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করলে ভিকটিমকে ঢাকা থেকে বিগত ২৯/০৪/২০১৪ ইং তারিখে ঢাকার উক্ত বাসা হতে বাদীর বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে আসার পর পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে জানায় যে, আসামী মোঃ গোলাপ হোসেন (৪০) তার ভাড়া করা বাসায় আটক রেখে খুন-জখমের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রতিদিনই ধর্ষণ করে আসছিলেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দাখিল করলে অফিসার-ইন-চার্জ, ঝিনাইগাতী থানার মামলা নং-০১, তারিখঃ ১২/০৫/২০১৪ ইং, ধারা-৭/৩০/৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ সংশোধনী/০৩) রুজু করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার মামলা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০/৯(১) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জনাব মোঃ আখতারুজ্জামান, বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, শেরপুর মহোদয় গত ২৫/১০/২০২১ খ্রিস্টাব্দে আসামী মোঃ গোলাপ হোসেন (৪০) এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমান হওয়ায় আসামীকে ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমান হওয়ায় আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। মামলার ঘটনার পর থেকেই আসামী মোঃ গোলাপ হোসেন ০৯ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এর নেতৃত্বে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানা এর উপস্থিতিতে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল ইং ০৪/০৪/২০২৩ ইং তারিখ অনুমান ১৭:৪৫ ঘটিকায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া, চিত্র সাইল বাজার হতে আসামী মোঃ গোলাপ হোসেন (৪০) কে আটক করে। ধৃত আসামীকে সূত্রোক্ত মামলায় শেরপুর জেলায় ঝিনাইগাতী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।।।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আশুলিয়ার চেতনা মাল্টিপারপাসের ১০ ভয়ংকর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

কক্সবাজারের ঝিলংজা থেকে দশহাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব-১৫

কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশের এএসপি পরিচয়দানকারি প্রতারককে আটক করেছে র‍্যাব-১০