সাতকানিয়ায় নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বৃদ্ধ পিতাকে হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

 


সাতকানিয়ায় নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বৃদ্ধ পিতাকে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামী লোকমান(২৫) র‌্যাব-৭ এবং র‌্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে ঢাকা হতে গ্রেফতার।

---------------------------------------------------------------------


 বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।


 নিহত ভিকটিম মোঃ ইউসুফ (৬৫) চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া এলাকায় কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আসামী মোঃ শওকত ভিকটিমের ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়েকে প্রায় সময়ই উত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। গত ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক ১৬৩০ ঘটিকায় ইউসুফ এবং তার পরিবারের সদস্যরা জমিতে কাজ করতে যায়। ঐসময় ইউসুফের নাবালিকা মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে আসামী শওকত তাকে ধর্ষণের চেষ্ঠা করে। ইউসুফের প্রতিবেশী একজন তাকে সংবাদ দিলে ইউসুফ এবং তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে এসে শওকতকে আটক করে এবং এলাকার লোকজনকে ঘটনার বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে আনুমানিক ১৬৫০ ঘটিকায় লোকমানসহ ৪/৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল শওকতকে ইউসুফের নিকট হতে ছিনিয়ে নেয় এবং বৃদ্ধ ইউসুফকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে ইউসুফ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা ইউসুফের বুকের উপর পা দিয়ে সজোরে কয়েকবার লাথি মেরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ইউসুফকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া পদুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।       


 এ ঘটনায় নিহত ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানায় ০৭ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৯, তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। 


 র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা ও ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ লোকমান ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২০০৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, এবং র‌্যাব-১০ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ লোকমান (২৫), পিতা-নূর মোহাম্মদ, সাং-পদুয়া, থানা- লোহাগড়া, জেলা-চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় আসামী বলে স্বীকার করে।


 গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আশুলিয়ার চেতনা মাল্টিপারপাসের ১০ ভয়ংকর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

কক্সবাজারের ঝিলংজা থেকে দশহাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব-১৫

কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশের এএসপি পরিচয়দানকারি প্রতারককে আটক করেছে র‍্যাব-১০