আশুলিয়া তৈয়বপুরে গজারিয়া খালে জোরপূর্বক মাছের ঘের দখল,থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
রাকিবুল ইসলাম সোহাগ- আশুলিয়া ইয়ারপুর ইউনিয়ন এর তৈয়বপুর গ্রামের গজারিয়া খালে জোরপূর্বক মাছের ঘের দখলের অভিযোগ। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!জননিরাপত্তায় ভুগছেন ভুক্তভোগীগন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ জরুরী।
আশুলিয়ার ইয়ারপুর তৈয়বুর গ্রামে গজারিয়া খাল সেখানে বিভিন্ন প্রজেক্ট এবং বিভিন্ন কোম্পানির নামে সাইনবোর্ড কৃত জমি রয়েছে এরই ধারাবাহিকতায় ইয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী দেওয়ান একটি মাছের ঘের করার জন্য কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানা মানুষের কাছ থেকে সেই জমি লিজ নেয় প্রায় তিনবছর সেখানে কষ্ট করে ঘেরে মাছ চাষ করে আসছে কয়েকজন পার্টনার নিয়ে এবং কি উক্ত ঘের পরিচালনায় ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত করা হয় আলী দেওয়ানের নামে উক্ত ট্রেড লাইসেন্স টি রেনু করা হয় তার নামে ভুক্তভোগী আলী দেওয়ান জানান আমরা নির্বিঘ্নে এই প্রোজেক্টের ঘেরটি পরিচালনা করে আসিতেছি বেশ কিছুদিন হল সোহেল তালুকদার নামক ব্যক্তি আশুলিয়ার টঙ্গা বাড়ির বাসিন্দা তিনি মাছের ঘের টি নিজের বলে দাবী করে একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখান,এবং আলী দেওয়ানের লোকজনদের মারপিট করে আলী দেওয়ান সহ তাদের ঘের থেকে বের করে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী আরো জানান উক্ত মাছের ঘেরে আরো দশজন মালিকানা রয়েছে তাহাদের ভিতর জাহিদ হাসান জিতু অন্যতম তাকেও জোরপূর্বক একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে সোহেল তালুকদার এর লোকজন এই ঘটনার বিষয়ে ও গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জিতু।
এসময় সরেজমিনে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান উক্ত ঘেরটি আলী দেওয়ানের প্রায় তিন বচ্ছর ধরে আলী দেওয়ান সহ কয়েকজন মিলে ঘেরটি পরিচালনা করছে, স্থানীয়রা জানান যে কোন সময় এখানে বড় ধরনের কোন মারামারি হতে পারে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।
অন্যদিকে বর্তমান দখলে থাকা নাজিমের সাথে কথা বললে তিনি জানান সোহেল তালুকদার এই ঘেরের মালিক আলী দেওয়ান এই ঘেরের কর্মচারী সে গোপনে ট্রেড লাইসেন্স করে এই ঘেরের মালিকানা দাবী করছে আলী দেওয়ান বাৎসরিক হিসাব না দেওয়ায় এবং তার সহযোগী নাহিদ হিসাব না দেওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন ফন্দি করছে আমরা এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় আগে অভিযোগ করছি শনিবারে থানায় বসাবসি আছে।
তিনি আরো জানান উত্তরণ নামে প্রোজেক্টের ৪০ শতাংশ মালিকানা সোহেল তালুকদার আলী দেওয়ানের এখানে এক ফোঁটা জমিও নেই আলি দেওয়ান যে অভিযোগ এনেছে সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আমরাও থানায় অভিযোগ করেছি সত্য মিথ্যা যাচাই করেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার তিনিও দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে আশুলিয়া থানা ওসি ইন্টেলিজেন্স মিজানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন