পাওনা টাকা দ্বন্দ্বে ধর্ষনের পর হত্যা ২৪ ঘন্টার ভিতর চার আসামি কে আটক করেছে র‍্যাব-৪

রাকিবুল ইসলাম সোহাগ -ঢাকা জেলার আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক মূল হোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।


র‍্যাব-৪ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ঢাকাা জেলাার আশুলিয়া থানাধীন পাতালিয়া ইউনিয়নের খেজুরটেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক হত্যা কান্ডের মূল হোতাসহ ৪ জনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

গত ২০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ রাত ২০.০০ ঘটিকায় সাভারের আশুলিয়ার একটি পরিত্যক্ত নির্মানাধীন বাড়ির ভেতরের জঙ্গলে অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ খুঁজে পাওয়া যায় এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে জানা যায় যে, মৃত ভিকটিমের নাম মোছাঃ পারভিন আক্তার লক্ষ্মীপুর সদর থানাধীন এলাকার বাসিন্দা। বিগত সাত আট বছর ধরে আশুলিয়া থানাধীন খেজুরটেক এলাকায় একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। গত ২২ ডিসেম্বর ২০২২ বেলা ১৩.৩০ ঘটিকায় মৃতের ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন অজ্ঞাতনামা আসামী করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে র‌্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল ভিকটিমের দেহ  সনাক্তসহ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনতে তৎক্ষণাৎ ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিম সনাক্তসহ উক্ত হত্যা কান্ডের মূল হোতা  ১। মনিরুজ্জামান(৩৫), জেলা- ফরিদপুর সহ , ২। মোঃ সোলায়মান হোসেন৥ বাবু,জেলা- সিরাজগঞ্জ ,৩।আল আমিন(৩০), জেলা- সিরাজগঞ্জ ৪ মোঃ সাব্বির ইসলাম(১৮) জেলা- সিরাজগঞ্জকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।

 প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মৃত ভিকটিম পারভিন আক্তারসহ গ্রেফতারকৃত আসামীরা পূর্ব পরিচিত এবং তারা স্থানীয়ভাবে ভাঙ্গারির ব্যবসাযর কাজে ভিকটিম পারভিন আক্তারের কাছে টাকা লগ্নী করা ছিলো। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, আসামি মনিরুজ্জামান ভিকটিম এর কাছে ১১ হাজার টাকা এবং আসামি আল আমিন ৬০ হাজার টাকা পেত। কিন্তু ব্যবসায় ক্ষতি হওয়াতে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে যার প্রেক্ষিতে মনিরুজ্জামান, আল-আমিনসহ তাদের সহযোগীরা ভিকটিম পারভীন আক্তারকে চাপ প্রয়োগ ও এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তখন আসামি মোঃ মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে অন্যান্যরা ভিকটিম পারভীনের বড় কোনো ক্ষতি করার পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৭/১২/২০২২ তারিখ রাত ২০.০০ ঘটিকার সময় কৌশলে আশুলিয়ার ফুলেরটেক এলাকায় একটি পরিত্যক্ত নির্মানাধীন বাড়ির ভেতরের জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ঘটনা আড়াল করার জন্য তারা ভিকটিমের পরিহিত পায়জামা ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং মৃতদেহকে সুকৌশলে গভীর জঙ্গলে ফেলে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা এই ঘটনার সাথে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আশুলিয়ার চেতনা মাল্টিপারপাসের ১০ ভয়ংকর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

কক্সবাজারের ঝিলংজা থেকে দশহাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব-১৫

কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশের এএসপি পরিচয়দানকারি প্রতারককে আটক করেছে র‍্যাব-১০