দুই শিশু কে অপহরণের পর হত্যার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কে আটক করেছে র‍্যাব-৪

রাকিবুল ইসলাম সোহাগ -টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চাঞ্চল্যকর দুই শিশু অপহরণের পর জোড়া হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আরিফ (৩৫)’কে নারায়নগঞ্জ বন্দর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।


 র‌্যাব-৪ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এছাড়াও বিগত দিনগুলোতে র‌্যাব-৪ চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতারের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দীর্ঘ সময় যাবত পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ছদ্মবেশী বেশ কয়েকজন র্দুর্ধষ খুনী, ডাকাত এবং ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে নারায়নগঞ্জ সদর থানাধীন বন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চাঞ্চল্যকর দুই শিশু অপহরণের পর জোড়া হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আরিফ (৩৫), জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের একটি স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয় ঢাকার ধামরাইয়ের চর চৌহাট গ্রামের প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিল (১০) ও একই গ্রামের প্রবাসী আবু বক্করের ছেলে ইমরান (১১) অপহরণের পরদিন ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোট-১,০০,০০০/-(এক লাখ) টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা এবং পরদিন শুক্রবার রাতে মির্জাপুর উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের একটি লেবু বাগান থেকে নিখোঁজ দুই শিশুকে জবাই করে হত্যা করে আসামীরা। পরবর্তীতে ৩০ জানুয়ারি শনিবার শিশুর শাকিলের মা জোসনা বেগম বাদি হয়ে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে ধৃত আসামীসহ অন্যান্য ১১ জন আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ সালে আদালত ঐ মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে তিনজনের মৃত্যুদন্ড, তিনজনের আমৃত্যু ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। পরবর্তীতে রায় ঘোষনার সময় ৮ জন আসামী উপস্থিত থাকলেও ধৃত আসামী আরিফ আত্মগোপনে চয়ে যায়। এ সময় আসামী বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে নারায়নগঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে করে রাজমিস্ত্রী, গামেন্টস্ কর্মী, লেবার ও রিক্সাচালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতো।

 গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আশুলিয়ার চেতনা মাল্টিপারপাসের ১০ ভয়ংকর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

কক্সবাজারের ঝিলংজা থেকে দশহাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব-১৫

কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশের এএসপি পরিচয়দানকারি প্রতারককে আটক করেছে র‍্যাব-১০