নির্বাচন আসলেই অপপ্রচার করে একটি কুচক্রী মহল,মিথ্যা সংবাদের নিন্দা জানিয়েছে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ

 

রাকিবুল ইসলাম সোহাগ -দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ২৯ নভেম্বর ২০২২ইং তারিখে সংবাদ শিরোনাম হয়- “নৌকার প্রতীক বিক্রি হলো ৩ কোটিতে ?”। এই সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর এই সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

উক্ত সংবাদে বলা হয় দীর্ঘ আলোচনার পর সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে ২কোটি ৯০ লাখ টাকার বিনিময়ে নৌকার প্রতীক বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বলা হয় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মোশারফ হোসেন মুছাকে মনোনয়নের দায়িত্ব নেন (সামারি) আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন। বলা হয় বিভাগীয় দায়িত্ব থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের সাথে চুক্তি করে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের ভুল তথ্য সরবরাহ করে মনোনয়ন দিতে মরহুম সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া মাস্টারের ছেলে সাজানো হয় মুছাকে। 

এদিকে মোশারফ হোসেন মুছা নৌকা প্রতীক পেয়ে ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ভোটাররা। যেকোনো মূল্যে নৌকাকে বিজয়ী করতে আরো ৩ কোটি টাকা ঘোষণা দিয়েছেন মুছা। আর এসব অর্থ যোগান দিচ্ছেন কয়েকটি হাউজিং কোম্পানি।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও ইয়ারপুর ইউনিয়নের তিনবার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া মাষ্টার। তার পুত্র সুমন আহমেদ ভুঁইয়া আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বক্তব্যে বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে এলাকাবাসীর চাওয়ায় তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন কিন্তু তিনি নৌকার বিরুদ্ধে নয়, ব্যক্তি মুছা’র বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন।

প্রবিন আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান ছিলেন সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া মাষ্টার। তার পুত্র সুমন আহমেদ ভুঁইয়া আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বক্তব্যে বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলি সমাপ্ত করতে এলাকাবাসীর দাবীর মুখে  তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন কিন্তু তিনি নৌকার বিরুদ্ধে নয়, ব্যক্তি মূছা’র বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাভারের আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মূছা বলেন, উক্ত দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে “নৌকার প্রতীক বিক্রি হলো ৩কোটি টাকায়?” সংবাদটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । এই মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদটি যারা প্রকাশ করেছেন, আমি তাদের এই সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর যেসকল গণমাধ্যমে উক্ত সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উক্ত ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন। নৌকা প্রতীক দিয়েছেন দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দল যাকে মনোনয়ন দিবে দলীয় নেতৃবৃন্দ নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করবেন আমি সকল নেতাকর্মী বৃন্দদের কাছে সেটাই আশাবাদী।  আর আমি সবার কাছে নৌকা মার্কায় ভোট ও দোয়া চাই ইয়ারপুর বাসির সেবা করার সুযোগ চাই। তিনি আরও বলেন,সথ্যের জয় অনিবার্য  আমার বিরুদ্ধে আপনারা ভালো করে খোঁজখবর নেন আমার এলাকার আশেপাশে থেকে আমি কেমন মানুষ এলাকাবাসী বলবে আমাকে মাদকের গডফাদার বলে আমি যদি মাদকের সাথে জড়িত থাকি তাহলেতো থানায় আমার নামে অনেক অভিযোগ থাকতো আসলে ভালো মানুষ প্রতিনিধি হোক এটা অনেকে চাচ্ছে না দেখে আমার ও আমার নেতা ফারুক হাসান তুহিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে কুচক্রী মহল। আমি আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থনা করি, আমার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার করছেন, আল্লাহ তাদের বিচার করবে।

অন্য দিকে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঃ কাদির মাষ্টার বলেন,মিডিয়াগুলি নিউজ করবে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ফারুক হাসান তুহিন যুব সমাজের আইকন তাকে নিয়ে এবং মোল্লা মোশাররফ হোসেন মূসা কে নিয়ে যারা মিথ্যা অপপ্রচার করছে এটা ঠিক নয় নির্বাচন আসলেই যত অপপ্রচার করা হয় ফারুক হাসান তুহিনের বিরুদ্ধে, আমরা এসকল মিথ্যা নিউজের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।।