ভোলা জেলার এওয়াজপুরে লবন গুন্ডা বাহিনীর নানান কু-কর্ম।




মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি- ভোলা, বরিশাল

ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষন থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের লবন গুন্ডা বাহিনীর সদস্য রাশেদ গত ২৩/০৭/২০২২ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার দিবাগত রাতে জহুরুল ইসলাম মৃধার গরু চুরির চেষ্টার অভিযোগের দায়ে জর্জরিত। গত ২৮/০৭/২০২২ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবারে একই ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিন্টু মাঝির প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার সমমূল্যমানের একটি গরু চুরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জান্নাতির মাকে ধর্ষন চেষাটাকারী রাশেদ মোসলেহ উদ্দিন নামক লবন গুন্ডা  কয়ালের ছেলে। মোসলেহ উদ্দিন মৃত; খোরশেদ বেপারীর জ‍্যেষ্ঠ পুত্র। তাদের আদি নিবাস দৌলত খান উপজেলা। মৃত: খোরশেদ বেপারী চট্টগ্রামের মাঝির ঘাট এলাকার লবণ মিল (বর্তমানে উচ্ছেদিত) এর কয়াল মৃত: আব্দুর রশিদের ছোট ভাই ছিল। জান্নাতির মাকে ধর্ষন কিংবা জান্নাতির মার গরু চুরির চেষ্টার ঘটনার দিন রাত দূইটার সময় ঘটনার স্থান ঘুরে  জানা যায় যে, এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের খতির মার খাল পাড় এলাকার বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম মৃধার স্ত্রী গভীর রাতে কিসের কি জানি কি শব্দ পেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে ঘরের বাইরে যায়। তাতে সেখানে লবন গুন্ডা মোসলেহ উদ্দিন কয়ালের জ‍্যেষ্ঠ পূত্র রাশেদ ঐ জহুরুল ইসলামের খরের গরু চুরি করতে ব‍্যর্থ হওয়ায় জহুরুল ইসলামকে ভারী লাঠি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। লাঠির আঘাতের ভয়ে উক্ত জহুরুল ইসলাম ধানাই-পানাই মৃধা আত্মরক্ষামূলক চিৎকার দেয় বলে দাবী করে। চিৎকার শুনে পাশের ঘরের লোকজন ছুটে গেলে লবন গুন্ডা বাহিনীর সদস্য রাশেদ ও তার বাহিনীর লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন দিক থেকে ডাক চিৎকারের স্থানে ছুটে আসা লোকজনের মধ্যে লিটন দর্জির সামনে পড়া রাশেদ গুন্ডা বা ডাকাত লিটন দরজিকে কাকা বলে লিটন দর্জির নিকট আত্মরক্ষা পাওয়ার উক্তি ব‍্যাক্ত করে। লিটন দরজি ঘটনার স্থানে এসে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার মত করে সবার সামনে রাশেদের নাম ও রাশেদের পালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করলে সবার নিকট জানা জানি হয় যে, রাশেদ ঘটনার স্থান হতে পালিয়েছে। এবং লবন গুন্ডা রাশেদ ও তার বাহিনীই জান্নাতির মাকে ধর্ষন চেষ্টা কিংবা জান্নাতির মার গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে লবন গুন্ডা রাশেদ ও রাশেদের গুন্ডা পিতা মোসলেহ উদ্দিন একত্রে আরেক লবন গুন্ডা ইউনুস মাঝিকে ব‍্যাপক মারধর করার খবর পাওয়া গেছে। লবন গুন্ডা ইউনুস মাঝি ও লবন গুন্ডা রাশেদ-মোসলেহ উদ্দিন পরস্পর পরস্পরের আত্মীয় ও সতীর্থ ষন্ডা-গুন্ডা। লবন গুন্ডা রাশেদ-মোসলেহ উদ্দিন বনাম লবন গুন্ডা ইউনুস মাঝির মধ্যকার মারামারির সেই ঘটনা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা ঘটার রেশ কাটতে না  কাটতেই রাশেদ তার পিতার মত দ্বিতীয় অসম অসভ‍্যতামিতে নেমেছে। কয়েক দিন আগে রাশেদ বিবাহ করার খবর পাওয়া গেছে। অনেকেই বলছে যে, নিজ ঘরে বৌ থাকা সত্ত্বেও যৌন কাজে রাশেদ জান্নাতির মায়ের কাছে যাওয়া সঠিক হয় নাই। এদিকে ঘটনা নিয়ে নানান জল্পনা‌-কল্পনা শুরু  হয়েছে। জান্নাতির মায়ের কাছে যাওয়ার সেদিনের ব্যাপারের সাথে রাশেদের সাথে আরেক লবন গুন্ডা তরিকল কয়ালের ছেলে পারভেজ ও লবন গুন্ডা রফিক কয়ালের ছেলে আওলাদের নাম শোনা যায়। অবশ্য আওলাদের যাওয়া নিয়ে বিতর্ক আছে। কেননা সবাই জানে যে, আওলাদের গোপনাঙ্গ টনক হলে সে আরেক লবন গুন্ডা হান্নানের মেয়ে মুক্তার সাথে যৌন মেলামেশার জন্য যায়। মুক্তার সাথে এহেন ঘটনা নিয়ে তিন লবন গুন্ডা হান্নান, মন্নান ও ইউনুসের মধ্যে ইতিমধ্যেই কয়েক দফার ত্রিমুখী লড়াই খুনাখুনীতে পৌছেছিল যা বর্তমানে ঠান্ডা লড়াইয়েই সীমাবদ্ধ। এদিকে জান্নাতির মায়ের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে লবন গুন্ডা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাকে হালকা করার জন্য নিজেদেরকে ইক্ষু চোর দাবী করেছে। ছবিতে লবন গুন্ডা ইউনূস মাঝি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আশুলিয়ার চেতনা মাল্টিপারপাসের ১০ ভয়ংকর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

কক্সবাজারের ঝিলংজা থেকে দশহাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব-১৫

কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশের এএসপি পরিচয়দানকারি প্রতারককে আটক করেছে র‍্যাব-১০