আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষনের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক ধর্ষক

ঢাকার অদুরে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল নিশ্চিন্তপুরের আরিফের ভাড়া বাসার ভাড়াটিয়া ও নিউএজ পোশাক কারখানার শ্রমিক মোসাঃ হেলেমা আক্তার ২১/০৬/২০২২ ইং ধর্ষনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন(মামলা নং-৬৮)।ভুক্তভোগী হেলিমা আক্তার জানান, টুটুল নামের ঐ ধর্ষকের সাথে চাকুরী নেওয়ার সুবাধে গত পাচ মাস আগে আমার সাথে তার পরিচয় হয় টুটুল আমাকে প্রেমের জালে ফাসিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টুটুলের নিজ ভাড়া বাসা কাটগড়া পুকুরপার চালাবাজার এলাকায় নিয়ে পরিত্যাক্ত একটি বাড়িতে ধর্ষন করে, সেই ধর্ষনের ভিডিও করে রেখে আমাকে বিভিন্ন ভাবে ব্লাক মেইল করতে থাকে,আমি টুটুলের বোন সুমি আক্তার, তার সাথে এ সব বিষয়ে কথা বলতে চাই। কারন সুমি ও নিউএজ কারখানার শ্রমিক,এ কথা শুনে টুটুল নিজেকে বাঁচাতে ষড়যন্ত্র করে তার বোনের মোবাইল আমার কাছে দিয়ে বলে তুমি ফোন টি রাখো, এরপরই টুটুল তার বোন সুমিকে দিয়ে আশুলিয়া থানায় মোবাইল হারানো সংক্রান্ত একটি জিডি করায়, জিডি করার পর থেকে এবং তার কাছে থাকা মোবাইলের ভিডিওর ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফেরত দেওয়া বাবদ আমাকে যে কোন দোকানের বিকাশ নাম্বার দিয়ে টাকা চাইতে বলে,আমি মানসম্মানের ভয়ে তার কথামত বিকাশের দোকানে যাই বিকাশের নাম্বার দিলে টুটুল বিকাশের দোকানে এসে আমাকে মোবাইল চোরের বদনাম দেয় এবং বিকাশে টাকা চাওয়ার জন্য আশুলিয়া নিশ্চিন্তপুর আমেনা মসজিদ রোড নাইমের দোকানে আমাকে টুটুল আমাকে আটক করে ব্লাকমেল করতে থাকে তখন তার সাথে কোন পুলিশ ছিলোনা এবং মোবাইল হারানোর জিডির আয়ু যে আল মামুন তাকে পর্যন্ত বিকাশে টাকা চাওয়ার ব্যাপারে কোন কিছু টুটুল জানায়নি সে বিকাশের দোকানে এসে আমার ভাড়া বাসার এলাকায় গোলা মাল তৈরি করে আমাকে হেনেস্তা করতে থাকলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন জড়ো হয় অনেক মানুষের ভিড় দেখে রাকিবুল ইসলাম সোহাগ নামের একজন সাংবাদিক সেখানে আসেন তিনি মোবাইলের বিষয়ে শুনিয়া আইনগত ভাবে টুটুল সহ উভয়পক্ষ কে এগুতে বলেন কারন মোবাইলের ব্যাপরে টুটুলের বোন সুমি থানায় জিডি করছে। আমি তখনি তাদের সামনে আমার সাথে ঘটে যাওয়ার কথা বারবার বলতে গেলে টুটুল আমাকে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওর ভয় দেখাতে থাকলে আমি ভয়ে কিছু তখনি লোকজনের সামনে কিছু বলতে পারি নাই। পরবর্তীতে আমি বাসায় গিয়ে আমার আত্মীয় স্বজনদের কাছে আসল ঘটনা খুলে বলি যে মোবাইল তো আমাকে টুটুল দিয়েছে আমাকে টুটুল নষ্ট করে আমাকে ফাসাতে চাইছে আমি ওর বিচার চাই,আমার ভাই সহজসরল হওয়াতে টুটুল কে ফোন করে বলে মোবাইল আমার বোনের কাছে আছে মোবাইল নিয়ে যাও আমার বাসায় এসে চালাক টুটুল নিজে না আসিয়া তার বোন সুমি কে আমার ভাড়া বাসায় পাঠিয়ে দেয়ার কিছুক্ষণ পড়ে টুটুল পুলিশ নিয়া আমার বাসায় প্রবেশ করে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে আমার ভাই রানা কে বেদম মারধোর করতে থাকলে আমি পুলিশের সামনে তখন সব ঘটনা খুলে বলি টুটুল আমাদের ফাঁসাচ্ছে টুটুল আমাকে ধর্ষন করছে আমি টুটুলের বিচার চাই।পুলিশ সব কিছু শুনে আমার ভাই রানা সহ আমাকে ও টুটুলকে থানায় নিয়ে যায়,পরবর্তীতে সকলের সাথে আলোচনা করিয়া ন্যায় বিচারের আশায় আমি নিজে বাদী হয়ে রাতেই মামলা করেছি আমি টুটুলের শাস্তি চাই এমন করে যেন আর কোন মেয়েকে কেউ নষ্ট না করতে পারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক টুটুলের বোনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন মোবাইল চোর কে বাচাতে আপনারা আমার ভাইকে ফাঁসিয়েছেন আমার ভাই নির্দোষ আমার ভাই টুটুল আশুলিয়া থাকেনা তার কোন বাসা নেই এখানে তিনি কন্টাকটারি করে উত্তরায় সেখানেই থাকেন কাঠগড়া তার কোন ভাড়া বাসা নেই আমি আইনি লড়াই করবো আর মামলা যদি মিথ্যা হয় আপনারা যদি মোবাইল চোরের পক্ষে থাকেন কোন নিউজ করেন তাহলে আপনাদের সহ সবার নামে মামলা করবো আমি গোপালগঞ্জের মেয়ে আমাদের অনেক লোক আছে আপনাদের চিনে রাখলাম।
ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিক হেলিমার ভাই রানা বলেন আমরা অসহায় গরীব এবং আমার বোন পোশাক শ্রমিক আমার বোনের ধর্ষনকারী টুটুলের গোপালগঞ্জ বাড়ী হওয়ায় ধর্ষনকারীর পক্ষ নিয়ে গোপালগঞ্জের কিছু লোক মামুন শ্রমিকলীগ নেতা (ঢাকা উত্তর) ও নিশ্চিন্তপুর সাইফুলের বাসার ভাড়াটিয়া লিটু সহ(গোপালগঞ্জ)সহ কতিপয় ব্যক্তি ধর্ষনের বিষয়টি নিয়ে ধামাচাপা দেয়া সহ উল্টো আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করছে এবং বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করা সহ ধর্ষনকারীর বোন সুমিও বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করছে। এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফরহাদ বিন করিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,ধর্ষনের অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি টুটুল কে আটক করে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে ধর্ষনের অভিযোগ করা শ্রমিকের মেডিকেল করা হয়েছে এবং মহাখালী সি আইডি অফিসে নমুনা পাঠানো হয়েছে ফাইনাল রিপোর্ট হাতে পেলে মামলার চুড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে।।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন