কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া হতে সংঘবদ্ধ মোটর সাইকেল চোরাকারবারী চক্রের ০২ সদস্য’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

 কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা হতে সংঘবদ্ধ মোটর সাইকেল চোরাকারবারী চক্রের ০২ সদস্য’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪; চোরাইকৃত বিভিন্ন মোটর সাইকেলের নাম্বার প্লেট ও যন্ত্রাংশসহ মোটর সাইকেল উদ্ধার।

 র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ, চাদাবাজী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার এবং জঙ্গীবাদের মতো ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূল ও সেগুলোর রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি চোরাই কারবারি বন্ধের লক্ষ্যে অসাধু চোর ও ছিনতাই চক্র গ্রেফতার ও তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা সচেষ্ট।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন জেলার একটি সংঘবদ্ধ গাড়ি চোরচক্র দীর্ঘদিন যাবৎ গাড়ি চুরি করে গাড়ীর মালিকদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা দাবী করতঃ অন্যথায় গাড়ীর প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে খুচরা মূল্য বিক্রয় করে দিতো। এরই প্রেক্ষিতে ইং ২৭/০৫/২০২২ তারিখ ভিকটিম র‌্যাব-৪ বরাবর ভুক্তভোগী গাড়ী চুরি যাওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত অভিযোগটি যাচাই এবং ছায়া তদন্ত করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইং ১২/০৬/২০২২ তারিখ বিকেল ১৭.৫৫ ঘটিকার সময় কুমিল্লা জেলা ব্রাহ্মণপাড়া থানাদীন সাহেবাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত মোটর সাইকেলসহ সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্রের নিম্নোক্ত ০২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়ঃ

 ( মোঃ আলী আকবর (২০), জেলা- কুমিল্লা।

 মোঃ খাইরুল ইসলাম (২০), জেলা- কুমিল্লা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় তাদের নিজ নাম ঠিকানাসহ পলাতক সহযোগী আসামীদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। আসামীদ্বয় আরো জানায় যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ মোটর সাইকেল চোরাই চক্রের সদস্য। ধৃত আসামীদ্বয় পলাতক আসামীদের সহায়তায় পূর্ব পরিকল্পনা মতে পরস্পর যোগসাজসে ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা হতে মোটর সাইকেল চুরি করে নিজেদের দখলে রেখে গাড়ীর মালিকদের মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাদের নিকট হতে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা দাবি করতো। কেউ টাকা দিতে না চাইলে আসামীরা তাদের চুরিকৃত গাড়ীর বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ খুলে তা বিভিন্ন মটরস এর দোকানে খুচরা মূল্যে অবৈধভাবে বিক্রয় করে দিতো। এভাবে ধৃত আসামীদ্বয় পলাতক অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন যাবত অসংখ্য মোটর সাইকেল চুরি করে মোটা অংকের বিপুল পরিমান টাকা আদায় করে বলে ধৃত আসামীদ্বয় স্বীকার করে। এ চক্রের আরও অনেক পলাতক সদস্য পলাতক রয়েছে। যাদের গ্রেফতারে র‌্যাবের অভিযানিক দল তৎপর রয়েছে।

 উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী দলের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।