আশুলিয়ার বাইপাইলে অবৈধ সেক্সচুয়াল ঔষধ কারখানায় অভিযান
রাকিবুল ইসলাম সোহাগ :- আশুলিয়ার বাইপাইলে অবৈধ সেক্সচুয়াল ঔষধ কারখানায় অভিযান।
ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অবৈধ ক্ষতিকর সেক্সচুয়াল ঔষধ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ মে) শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বাইপাইলে বেলা ১১ টা থেকে টানা তিন ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) আশুলিয়া ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসেন।
আশুলিয়ার বাইপাইলে হাজী মোতালেব মিয়ার বাসার নিচতলায় তলায় এই অবৈধ সেক্সচুয়াল ঔষধের গোডাউন আছে বলে জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) আশুলিয়া ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট।
অভিযান পরিচালনা কালে একই বিল্ডিং এর ৩য় তলায় তল্লাশি করে সেক্সচুয়াল ঔষধ তৈরির সরঞ্জামসহ কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।এসময় অবৈধ সেক্সচুয়াল ঔষধ ওয়ান ফ্রুট সিরাপসহ অবৈধ যৌন উত্তেজনার ঔষধ তৈরীর বিভিন্ন কাচামালসহ ৫০ কার্টুন সিরাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় সাফিয়া ফুড এন্ড বেভারেজ এর এরিয়া ম্যনেজার মোহাম্মদ আলী সীমান্তকে না পেলেও আশুলিয়ার ডিপোর মালিক যশোরের কেশবপুর থানার মঙ্গলকোট এলাকার মৃত লোকমান হাকিম এর ছেলে আব্দুর রশিদ (৪৪) কে তিন মাসের কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় ঐ ভবনের ৩য় তলার প্রতিটি কক্ষ থেকে সাফিয়া ফুড এন্ড বেভারেজ, সেক্স সিরাপ ওয়ান ফ্রুটসহ সায়েম ফুড এন্ড বেভারেজের অবৈধ ঔষধ উদ্ধার করে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
আরেকটি কক্ষ থেকে ৫০ টি দেশীয় অস্ত্র চাপাতি তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় সাংবাদিকূদের সাথে আলাপকালে সহকারী কমিশনার (ভুমি) আশুলিয়া ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা এধরণের অবৈধ ঔষধ বিক্রি ও মওজুদ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় আঃ রশিদ স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়ে বলেন, আমি সাফিয়া ফুড এন্ড বেভারেজ ও সায়েম ফুড এন্ড বেভারেজ এর ডিলার কারখানার মালিক নই। আমি এখানে কোন ঔষধ উৎপাদন করি না। এসকল ঔষধ উৎপাদন করে সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী।আমি ডিলার হিসাবে আমার ব্যবসা পরিচালনা করি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন