ঢাকার আশুলিয়ায় স্বাধীন ই-কমার্সের এম, ডি প্রতারক ইলিয়াস সহ এক সহকারী আটক


রাকিবুল ইসলাম সোহাগ :আশুলিয়ায় স্বাধীন ই-কর্মাসে ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে প্রতারণা করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা। এ ঘটনায় স্বাধীন ই-কমার্সের এম, ডি সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী একজন বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।


মঙ্গলবার (২৪ মে) রাত ৯ টার তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই সুব্রত রায়। ইলিয়াস গার্মেন্টস শ্রমিকদের থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। ভোক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে সে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে গা ঢাকা দেয়।প্রতারকদের খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না তাই স্বাধীন ই-কমার্সের ভোক্তভোগী জনি সহ তারা ১০ থেকে ১৫ জন গ্রাহক তার সাথে কৌশলে দেখা করতে চায়। এসময় প্রতারক ইলিয়াস বান্দু ডিজাইন গার্মেন্টসের সামনে আসে দেখা করার জন্য, সেখানে আসলে ভুক্তভোগী গ্রাহক সাজু কৌশলে জাতীয় সেবা ৯৯৯ ফোন দেয় তৎক্ষণাৎ পুলিশ এসে ই-কমার্সের এম, ডি প্রতারক ইলিয়াস কে একজন সহযোগী সহ গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায়। গতকাল প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাজু মিয়া।


গ্রেফতারকৃতরা হলো- মাদারীপুর জেলার সদর থানার পাঁচখোলা গ্রামের  আলী হোসেনর ছেলে ইলিয়াস মৃধা (৩৬)। তিনি প্রতষ্ঠানের স্বত্ত্বাধীকারী ও প্রোপ্রাইটর  অপরজন ঝালকাঠি জেলার সদর থানার দক্ষিণ মানকশা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো:জাহিদুল ইসলাম (৩২)। তিনি প্রতিষ্ঠানের ডিলার ছিলেন। এই ঘটনায় লুৎফর রহমান নামে আরো এক আসামী পলাতক রয়েছে। বর্তমানে তারা আশুলিয়ায় বসবাস করে আসছিলো। তাদের স্বাধীন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনলাইনে স্বাধীন ই-কর্মাস নামে প্রতিষ্ঠান চালাতো।


ভুক্তভোগী সাজু মিয়া বলেন, একজনের মাধ্যমে তাদের এখানে কয়েক ধাপে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। তারা বলেছিলে অনলাইনে তারা ওষুধ বিক্রি করেন। তাদের একটি ওয়েবসাইট আছে। একটি আইডি নম্বরও খুলে দেন। লাভের একটি অংশ প্রতিদিন আমার সেই অনলাইন আইডিতে জমা হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন পরে কোন টাকা পয়সা দেয় না। তালবাহানা শুরু করে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তারা অনলাইনে কোন ব্যবসা করে না। অনলাইন সাইট খুলে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। টাকা চাইতে গেল উল্টো হুমকি দামকি দেয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।


পুলিশ জনায়, এখন পর্যন্ত ২৪ জন ভুক্তভোগীর সন্ধান পেয়েছি । যাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের তারা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, এখানে ৬০০ জন বিনিয়োগকারী রয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে চক্রটি।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই সুব্রত রায় বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার রাতে দুইজনকে আটক করি। পরে প্রতারণায় মামলা তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানতে পারেছি এটি প্রতারক চক্র। টাকা হাতিয়ে নিতে অনলাইনের ব্যবসার ফাঁদ পেতেছিলো। তারা এখানে গত দুইবছর আগে প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলো। নতুর করে পাশের উপজেলা ধামরাইয়েও অফিস খোলার পরিকল্পনা করছিলো। এখানে চক্রের ৩ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্তের বেরিয়ে আসবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কক্সবাজারের ঝিলংজা থেকে দশহাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব-১৫

৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগ

নীলফামারীতে ট্রেনে কেটে ৪ মৃত্যু: দুজনকে চাকরির আশ্বাস মন্ত্রীর।দেশের বার্তা 24