সাভার ও আশুলিয়া থানার ২৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত!

 


মোঃসোহাগ :-সাভারে ২৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত!


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:  পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সাভার উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকাসহ বিভিন্ন প্রতিকে অংশ নেওয়া ২৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। 


নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের আটভাগের একভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফখর উদ্দিন শিকদার। 


সাভার উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সাভার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বিভিন্ন দল থেকে চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন মোট ৫৩ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে একজন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১০টি ইউনিয়নে মোট ৫২ জন প্রার্থী নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নেয়। 


প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮ শ ৭৫। যেখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মেশের আলী পেয়েছেন ৮৫৮ টি ভোট। ইউনিয়নটিতে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাদের মধ্যে মেশের আলীর অবস্থান তৃতীয়। এখানে ৬ হাজার ৫৮১ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল আলম খান নির্বাচিত হয়েছেন। যার ফলে নৌকার প্রার্থী মেশের আলীর পাশাপাশি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে একশ ১৬টি ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাবুদ্দিন কবিরাজ।


আমিন বাজার ইউনিয়নে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১৮ হাজার ৪৫৮ টি। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা শফিকুর রহমান ৪১৯ ভোট পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 


ভাকুর্তা ইউনিয়নে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৭৫ টি। এখানে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছির উদ্দিন পেয়েছেন ৫৪ ভোট, মোটরসাইকেল প্রতীকের মো. নুরুল আমিন ৭৯৮ ভোট, টেবিল ফ্যান প্রতিকে শহিদুল ইসলাম ৮৫ ভোট এবং হাতপাখা প্রতিকে ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান মোরতাজ পেয়েছে ১ হাজার ৫২৬ ভোট। যার ফলে নিয়ম অনুযায়ী ইউনিয়নটিতে চার জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 


বনগাঁও ইউনিয়নে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২০ হাজার ২৬৩টি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মোক্তার হোসেন ৪৩৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। 


সাভার সদর ইউনিয়নে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২০ হাজার ৩৭০ টি। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী আল-মাহমুদ বিশ্বাস ৫৯০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।  


বিরুলিয়া ইউনিয়নে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৩০ টি। এদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মো. উজির মাহমুদ পেয়েছেন ১৮৩ ভোট, স্বতন্ত্র মো. গিয়াস উদ্দিন ৭৭৪ ভোট, মহসীন মণ্ডল ১৮ ভোট এবং মো. শাহীন মিয়া ৩৩৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

পাথালিয়া ইউনিয়নে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৫৫৪ টি। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ আলফাজ উদ্দিন সিরনিয়াবাত ১ হাজার ৩৪৭ ভোট, জাকের পার্টির মো. কুটি মিয়া ২৭৪ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান সিরাজ ৪৭ ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন। 


আশুলিয়া ইউনিয়নে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪০ হাজার ৬১৪ টি। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আঃ কাইয়ুম ৩ হাজার ৩৪ ভোট ও জাকের পার্টি মনোনীত মো. বদরুল আলম ২১১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।


ইয়ারপুর ইউনিয়নে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৩২ টি। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোকলেছুর রহমান ৩ হাজার ১৪৪ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মো. আল কামরান ৮৯৩ ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন। 


শিমুলিয়া ইউনিয়নে  প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৫শ হাজার ৪৬ টি। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হাসান ৭৬৯ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফয়েজ হোসেন ৬২৫, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন ৩৬৮, মো. জিয়াউর রহমান ৩০ ভোট এবং মো. সাইদুর রহমান ৩০ ভোট পাওয়ায় পাঁচ জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 


সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফখর উদ্দিন শিকদার বলেন, নির্বাচনের নিয়ম অনুসারে মোট প্রদত্ত ভোটের আটভাগের একভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। জামানত বাজেয়াপ্তদের তালিকায় উপজেলার বিরুলিয়া এবং শিমুলিয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর নাম রয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আশুলিয়ার চেতনা মাল্টিপারপাসের ১০ ভয়ংকর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

কক্সবাজারের ঝিলংজা থেকে দশহাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব-১৫

কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশের এএসপি পরিচয়দানকারি প্রতারককে আটক করেছে র‍্যাব-১০