সুবিদখালী দুই মেম্বার প্রার্থী সমার্থকদের সংর্ঘষে পথচারী সহ আহত- ৮




মোঃ সুজন সিকদার

 মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি


ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৪ নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের

দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পথচারী সহ ৮ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।


বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে  ইউনিয়নের সুবিদখালী ব্রীজ ডালে এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের পর উভয়পক্ষ উপজেলা সাস্থ কেন্দ্র চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।




খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাতে ১০ দিকে ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মোঃ কবির জোমাদ্দার ভোট চাইতে গেলে আরেক প্রার্থী ইসুফ খান দুজন সমর্থক তাদের নিষেধ করেন। এতে প্রার্থীর সাথে সমর্থকদের সাথে কথা কাটা কাটি হয় এক পর্যায় উভয় পক্ষের সমার্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সংঘর্ষে হয়। মোঃ কবির  জোমাদ্দার এর কর্মী-সমর্থকরা জানতে পারলে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নাইড ডিউটি পুলিশ 

সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় থানায় ফোন দিলে ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার, পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসে ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রণ করেন। 



আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় মোঃ কবির জমাদ্দার কর্মী ৩ জন মোঃ ফারক জমাদ্দার (৪৫) মোঃ জালাল জোমাদ্দার (৩০) মোঃ নাইম ( ১৬)এবং মোঃ ইউসুফ খানে কর্মী ১ জন মমতাজ বেগম (৪৫)

উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কবির জমাদ্দারের  দুজন সমর্থকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছারও দু পক্ষের সাংর্ঘষের চলাকালিন সময় পথচারি মোঃ মনির (১৫) গুত্বর আহত হয়। 


পথচারি মোঃ মনির বলেন আমি একজন ব্যাবসায়ী সুবিদখালী বাজারে ব্রীজের ডালে আমার পোশাকের দোকান আমি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে জাওয়ার সময় আমার চোখের নিচে এসে একটি ইট ভাঙ্গা কিছু আংশ এসে পরে। পরে আমাকে স্থানীয় কিছু লোক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। 


এ বিষয় জানতে চাইলে মোঃ কবির জোমাদ্দার বলেন আমি ১০ টার দিকে বাজারে পুরুর শাহা দোকানে বসে কথা বলি কথা বলা শেস হলে আমি দোকান থেকে নামলে আমাকে মোঃ ইউসুফ খান এর ছেলে মোঃ ইলিয়াস সহ ১০ থেকে ১৫ জন আমাকে বলে আমি ভোট ক্রয় করতে এসেছি আমি বলি আমি ভোট ক্রয় করতে আসিনি আমি অনুভব করতে পারি যে আমার উপরে হামলা করবে তাই আমার ভাইয়ে ছেলেকে ফোন দিয়ে আসতে বলি তার পরে বাজার কমিটির লোক জন এবং কালাম মৃর্ধা আমাকে ওখান থেকে যেতে বলে ইতি মধ্যে ইউসুফ খান এর লোক জন দেশিয় অস্র নিয়ে আমার লোক জনের উপরে হামলা করেন তাতে আমার ৪ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে, তার কাছে জানতে চাইলে থানায় কোন অভিযোগ করেছেন তিনি বলেন এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করিনি তবে করবো। 


এদিকে মোঃ ইউসুফ খান এর সাথে দেখা করতে চাই তিনি দেখা না করে তিনি মুঠো ফোনে বলেন  যে মোঃ কবির জোমাদ্দার তিনি ভোট ক্রয় করতে এসেছেন তখন আমার ছেলে ইলিয়াস বাধা দিলে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্য়ায় বাজারের লোকজন সমাধান করে দিলে জাওয়ার পথে আমাদের উভয় পক্ষের সমর্থক দের মধ্যে সংর্ঘসে জরিয়ে পরলে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করেন এতে আমার ৪ জন আহত হয় এর ভিতরে আমার এর স্ত্রী অবস্থা গুরুত্বর

তারা বরিশার হাসপাতারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে তার কাছে জানতে চাইলে থানায় কোন অভিযোগ করেছেন তিনি বলেন এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করিনি তবে করবো। 


এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন,  ৪ নং দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের সদর ২ নং ওয়ার্ড পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের মেম্বর প্রার্থী মোঃ কবির জোমাদ্দার ও ইউসুফ খান এর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয় থানায় কোন দুই পক্ষের কেউ অভিযোগ করেনি তবে আভিযোগ করলে, তদন্ত করে আইন গত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আশুলিয়ার চেতনা মাল্টিপারপাসের ১০ ভয়ংকর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

কক্সবাজারের ঝিলংজা থেকে দশহাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব-১৫

কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশের এএসপি পরিচয়দানকারি প্রতারককে আটক করেছে র‍্যাব-১০