কটিয়াদীতে সরকারি টয়লেট নির্মানের কাজে ব্যাপক অনিয়ম।
মো:মোফাসসেল সরকার, কিশারগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সরকারী অনুদানে নির্মিত টয়লেটের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের কাজিরচর বাজারে ২০ বছর আগে নির্মিত টয়লেটটির পুঃননির্মানের জন্য জেলা পরিষদ কর্তৃক একটি দরখাস্ত পেশ করা হয়। পরবর্তীতে জেলা পরিষদ কর্তৃক স্থানীয় মসূয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি এবং কাজিরচর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কাশেম ভুঁইয়া (খোকন মাস্টার) কে প্রকল্পের সভাপতি করে একটি বাজেট হস্তান্তর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসী ও কাজিরচর বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ২০ বছর আগে বাজারে নির্মিত টয়লেটের পুরাতন আস্তর ভেঙে তার উপরে নতুন প্লাস্টার সংযুক্ত করে নতুন টয়লেটের রূপ দিয়ে প্রকল্প কাজের সমাপ্তি করেন৷ এলাকাবাসী আরোও অভিযোগ করেন, অতীতে তৎকালীন সংসদ সদস্য মরহুম ডা. আব্দুল মান্নান কর্তৃক বরাদ্দকৃত একটি টিনশেড মসজিদের টি.আর আত্মসাৎের কাজের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে এ প্রসঙ্গে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী (যার ডায়েরী নং- ২৩২)।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও মসূয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং চর-আলগী ইছামুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল কাদির সবুজ জানান, সম্প্রতি টয়লেট নির্মানের অভিযোগ ছাড়াও পূর্বে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন আবুল কাশেম ভুঁইয়া (খোকন মাস্টার)।
এছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসী মিলন মিয়া জানান,অতীতে কাজিরচর বাজারে মসজিদ নির্মানের টি.আর বাজেট করা হলে তার সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তিনি এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চান। এ অনিয়ম প্রসঙ্গে স্থানীয় বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী আপন, বজলুর রহমান,দেলোয়ার হোসেন,রহমান, আশরাফ, গোলাপ মিয়া সহ একাধিক ব্যাক্তি কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. জিল্লুর রহমানের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্প কাজ পরিদর্শন করে অনিয়মের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন