ভোলার কচ্ছপিয়া টু কক্সবাজার টানেল (Public road Under Water) এর নির্মাণ কাজ

 ভোলার কচ্ছপিয়া টু কক্সবাজার টানেল (Public road Under Water) এর নির্মাণ কাজ।



মোঃ আবুল কাশেম, বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক শ্রমজীবীদের কথা, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ।


বৈশ্বিক পরিবহন নান্দনিকতায় প্রবেশ করছে বাংলাদেশের ঢাকা-বরিশাল-ভোলা-চরফ‍্যাশন-চরকচ্ছপিয়া-কক্সবাজার সড়ক। ভোলা জেলার বর্তমান ত্রিশ লক্ষ পরিবহন যাত্রীর জন‍্য কচ্ছপিয়া টু কক্সবাজার টানেল অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও রাষ্ট্র হিতকর পরিবহন ব‍্যবস্থা। আসলে বর্তমানে ও অতীত যুগে উহাতে কারোরই নজর দিতে দেখা যায় নাই। বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারী সড়ক পরিবহন স্থাপন শিল্প ব‍্যবস্থার পক্ষেই সবার দৌড়ঝাঁপ চলছে। এর জন‍্য সড়কের আধুনিকায়নের পাশাপাশি উড়াল সড়ক ও আন্ডারপাসের সংযোজন করে  সফল পরিবহন বিপ্লবের দিকেই সবাইকে অগ্রিম অগ্রগামী হতে দেখা যাচ্ছে। তাই উন্নত পরিবহন সৃষ্টির বিপ্লবের এই চলমান নবযুগে বাংলাদেশের সরকারী সড়কের আধুনিকায়নের পাশাপাশি আন্ডারপাস ও উড়াল সড়কের সংযোজন একটি নয়া  মাইল ফলক বটে। তবে নদী মাতৃক বাংলাদেশের জন‍্য উহা কিছুই না। কেননা বাংলাদেশের নদী মাতৃকতার প্রতিকূলের জন‍্য গড়ে ওঠা মানব বসতির পরিবহন চাহিদা পূরনের জন‍্য মানব চাহিদার অনুকূলে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারী সড়ক পরিবহন কাঠামো, সড়ক চেইন, সড়ক লিংক ও সড়ক পরিবহন বুনিয়াদ - এক কথায় সড়ক ব‍্যবস্থাপনা। যা সড়ক পরিবহন ভৌতিকতাকে দূরারোগ‍্য রোগাক্রান্ত ও ব‍্যধিগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশের সড়ক স্থাপনায়, ব‍্যবস্থাপনা ও প্রায়োগিকতায়  নিয়োজিত-প্রতিষ্ঠিত রোগ-ব‍্যধি বাংলাদেশের বর্তমান আঠারো বা বিশ কোটি লোকের দ্বারা চিকিৎসা করাও সম্ভব নয়। কারন যা যেমন হয়েছে তা তেমনই থাকবে। তাই উহাতে মানব পরিবহনকে সহজলভ‍্য করার দিকেই সবাইকে নজর দিতে হবে। বর্তমান পৃথিবীতে সবাই যখন পৃথিবীর বিখ‍্যাত ব‍্যক্তিত্ব মিষ্টার বিলগেটস, মি: ইলন মাস্ক, মি: জেফবেজোস, মি: ল‍্যরিপেজ, মি: সর্জিব্রেইন সহ প্রভৃতি বিশারদগনের দিকে ধাবিত -  সেই সভ‍্যতাবাদী আধুনিক যুগে ভোলা জেলার প্রায় ত্রিশ লক্ষ সড়ক পরিবহন যাত্রী কেন তিন ঘন্টার সড়ক পরিবহন আট হতে দশ-বারো ঘন্টার সড়ক পরিবহনে সমাপ্ত করবে? পাঁচ ঘন্টার সড়ক পরিবহন যাত্রী কেন ত্রিশ ঘন্টার সড়ক পরিবহনে  সমাপ্ত করতে বাধ‍্য থাকবে? GOOGLE কর্তূক বাংলাদেশকে দুই কোটি ঊনচল্লিশোর্ধ টাকা ভ‍্যাট (VAT - ভেলু এডেড ট‍্যাক্স) প্রদানের বর্তমান  ইন্টারনেটের যুগে ভোলা জেলার একটি ইমেইল যদি দশ সেকেন্ডের মাথায় হোয়াইট হাউসে পৌঁছে যেতে পারে সেই ভোলার সেই ইমেইল সেন্ডার কেন ভোলার বাংলাবাজার, দৌলতখান, গুইঙ্গার হাট, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, মনপুরা, কিংবা চরফ‍্যাশনের কোন এলাকা থেকে  ঢাকা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে লঞ্চঘাটে সকাল হতে সন্ধ‍্যা পর্যন্ত কিংবা রাত্র হতে সকাল পর্যন্ত বসে থাকবে? কিংবা লঞ্চে উঠে ঘন্টার পর ঘন্টা চলন্ত লঞ্চে ঘুমাবে, ঝিমাবে কিংবা ধর্ষক ও বলাৎকার এর কবলে পড়বে? চরফ‍্যাশনের চরকচ্ছপিয়ার অল্প কিছু দূরত্বের দক্ষিনের কক্সবাজারের কিংবা চট্রগ্রামের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়ে কেন একবার সড়ক পথে আইচা আসতে হবে? আবার চরফ‍্যাশন আসতে হবে? এরপর কেন ভোলা যেতে হবে? তারপর আবার কেন লক্ষীপুরের ফেরীঘাটে যেতে হবে? সেখান থেকে আবার কেন মজুমদার চৌধুরীর বাজারে যেতে হবে? সেখান থেকে কেন উত্তরের ফেনী যেতে হবে? আবার ফেনী থেকে কেন চট্রগ্রাম বা কক্সবাজার যেতে হবে? এত ঘোরাঘুরির দরকার কি? এভাবে রাস্তায় রাস্তায় জান-মাল, জীবন, মান, সময়, সহায়, সম্পদ বিসর্জন দেওয়ার কি প্রয়োজন আছে? পৃথিবীর কোন দেশেইতো এভাবে সড়ক পূঁজাও হয় না। বাংলাদেশেও পূঁজা ও আনন্দতো নয়-ই। বরং উহা পরিবহন বিড়ম্বনা, বিশৃঙ্খলা, বিকলাঙ্গতা বা পরিবহন অপদার্থতা। তাই সড়ক পরিবহন অপদার্থবাদী ভোলা জেলার প্রায় ত্রিশ লক্ষ সড়ক  পরিবহনবাহী বাসিন্দাদেরকে ভোলার চরফ্যাশনের চরকচ্ছপিয়া টু কক্সবাজার টানেল (Road Under Water/Public Throughfare Under Water) প্রাপ্তির আওতায় নেওয়া প্রয়োজন। কেননা ভোলা জেলার প্রায় ত্রিশ লক্ষ লোক সড়কের উপর নির্ভরশীল। সড়ক না থাকায় বাধ‍্য হয়ে বিকল্প দূর্ভোগের ব‍্যবস্থাপনা বরন করে চলাফেরা করতে হয়। এহেন দূর্ভোগ ও ভোগান্তি হতে বাঁচার জন্য ভোলার চরফ‍্যাশনের চর কচ্ছপিয়া টু কক্সবাজার টানেল (Road Under Water/Public Throughfare Under Water) খুবই সহজলভ্য পরিবহন ভৌতিকতা। সড়ক পরিবহনের এই ধরনের ফিজিক‍্যালিটি বাদ দিয়ে অন‍্য কোন পরিবহনই মানব সম্পদ ও সমাজের জন‍্য সুবিধাজনক নয়, হিতকর নয়, কল‍্যানকর নয় ও মঙ্গলজনক নয়। ভোলা জেলার মানব সমাজ, মানব সভ‍্যতা ও মানব সম্পদের জন‍্য উক্ত চরকচ্ছপিয়া টু কক্সবাজার টানেল (Road Under Water) শুধু ভোলা জেলার মানুষেরই সুবিধা হবে, এমন নয়। সারা বাংলাদেশের মানুষের জন‍্যই ভালো হবে। সারা দেশের জন‍্যই মঙ্গল হবে। তাই অতীব শীঘ্রই গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে ভোলা জেলার চরফ‍্যাশনের চরকচ্ছপিয়া টু কক্সবাজার টানেল (Road Under Water) নির্মানের উদ‍্যোগী হওয়ার জন‍্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলগনের তৎপরতা আশা করা গেল। বাংলাদেশের ভোলা জেলার চরফ‍্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া টু কক্সবাজার টানেল (Public road under water) নির্মাণ করা হলে উহাতে- বাংলাদেশের পদ্মা ব্রীজ, ভোলা টু বরিশাল ব্রীজ সমেত সড়ক,  চট্রগ্রামের কর্নফুলী টানেল(Public road under water), পাকিস্তানের তারবেলা ব্রীজ, ভারতের নেহেরু ব্রীজ, চীনের জেজিয়াং ব্রীজ, মাওসেতুং ব্রীজ, আমেরিকার সেসপেক ব্রীজ সহ পৃথিবীর বহু দেশের নান্দনিক সৌন্দর্যের ব্রীজ ও টানেল(Public road under water) দিয়ে চলাফেরা করার মতই ক্চ্ছপিয়া-কক্সবাজার টানেল (Public road under water) দিয়ে চলাফেরা করা যাবে। ছবিতে স্কেলের মাধ‍্যমে চরকচ্ছপিয়া টু কক্সবাজার এর কল্পিত টানেল (Road Under Water) ও নির্মিয়মান কর্নফুলী টানেল (Public road under water) তুলে ধরা হলো।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আশুলিয়ার চেতনা মাল্টিপারপাসের ১০ ভয়ংকর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

কক্সবাজারের ঝিলংজা থেকে দশহাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব-১৫

কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশের এএসপি পরিচয়দানকারি প্রতারককে আটক করেছে র‍্যাব-১০