আশুলিয়ায় কলেজ ছাত্র কে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়,পুলিশের অভিযানে আটক ২ জন


রাকিবুল ইসলাম সোহাগ - ঢাকার আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে ভাড়ায় একটি প্রাইভেট কারে ওঠেন ঢাকা কলেজের ছাত্র নেহাল আরেফিন শোভন (২৪)। কিছুদূর যেতেই কারের অন্য যাত্রীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে প্রায় ৩ লাখ টাকা লুটে নেয়। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ মে) শেরপুরের বাকেরগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শেরপুর জেলার বাকেরগঞ্জ এলাকার মো. শহিদ ও মো. শাহাদাত। তাঁদের কাছ থেকে অপরাধে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
ভুক্তভোগী যুবক নেহাল আরেফিন শোভন ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি পাঞ্জাবি তৈরি করে বিক্রি করেন।

পুলিশ জানায়, গত ১১ মে রাতে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। আসামি শাহাদাতের নিজেরই প্রাইভেট কার আছে। আসামি শহিদ হলেন শাহাদাতের আত্মীয়। প্রয়োজন মতো তাঁরা সহযোগীদের ব্যবহার করেন। তাঁরা শেরপুর থেকে এসে মাঝেমধ্যে এ রকম কাজ করে আবার ফিরে যান। তাঁদের আর কোনো পেশা নেই।

ভুক্তভোগী নেহাল আরেফিন শোভন বলেন, গত ১১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে রওনা দিয়ে আমি কুষ্টিয়া যাচ্ছিলাম। পরদিন আমার বন্ধুর বিয়ে ছিল। রাত ১২টার দিকে কোনো বাস না পেয়ে আমি নবীনগরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় একটি প্রাইভেট কার এসে কোথায় যাব জানতে চায়। ভেতর থেকে যাত্রীবেশে থাকা দুজন বলে তারা আরিচা যাবে। আরিচা পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ভাড়া মিটিয়ে আমি গাড়িতে উঠি। কিছুদূর যেতেই শুরু হয় মারধর। তাদের কাছে হাতুড়ি, প্লায়ার্সসহ নানা কিছু ছিল। এসব দিয়েই আমাকে মারধর করে। হাতুড়ির আঘাতে আমার মাথা ফেটে রক্ত বের হওয়া শুরু করে।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমার মোবাইল ফোনের মেসেজ ঘাটতে গিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মেসেজ পায়। পরে মানিব্যাগে থাকা ব্যাংকের কার্ড নিয়ে আমার কাছ থেকে কার্ডের পিন জেনে নেয়। পরে সেই কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন বুথ থেকে তারা ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা তুলে নেয়। আমার মোবাইল ফোন থেকেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫০ হাজার টাকা বিকাশে নেয়। আমার মোবাইল ফোন-মানিব্যাগ রেখে আমাকে অন্ধকার এক স্থানে ফেলে চলে যায় তারা। পরে পথচারীদের সহায়তায় আমি বাসায় ফিরি। পরে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি। গাড়িতে ড্রাইভারসহ চারজন ছিল।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাচিব সিকদার বলেন, ঘটনায় জড়িত দুজনকে বিকাশ লেনদেনের সূত্র ধরে শেরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা মূলত একটি চক্রের সদস্য। প্রাইভেটকার ব্যবহার করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তারা এসব অপকর্ম করে বেড়ায়। চক্রের বাকি সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আশুলিয়ার চেতনা মাল্টিপারপাসের ১০ ভয়ংকর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

কক্সবাজারের ঝিলংজা থেকে দশহাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব-১৫

কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশের এএসপি পরিচয়দানকারি প্রতারককে আটক করেছে র‍্যাব-১০